খাল দখলের প্রতিযোগিতা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে
শ্রীপুর প্রতিনিধি মো: জনি হাসান,
শিল্পোন্নত গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় মিল ফেক্টরির পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে কৃষি জমি এখন সর্বদাই থাকে দূষিত পানির নিচে। তাছাড়া বর্ষাকালেও গ্রামের শত শত কৃষকের জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পরিত্যক্ত থাকছে এক সময়ের কৃষজ জমি। আবার অন্যদিকে জমির মালিকরা প্রতিবছর একটু একটু করে খালের জমি দখল করে জমির আয়তন বড় করার কারণে খালটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খালটির অবস্থান শ্রীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বেরাইদেরচালা গ্রামের দোখলা বাজারের পাশে লবলং খাল।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকার পানি নিষ্কাশন ও সেচ কাজের জন্য ঐতিহাসিক লবলং সাগর স্মৃতিবিজড়িত শিল্প অধ্যুষিত উক্ত খালটি ব্যবহৃত হলেও সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালীর কু নছর পরে মহামূল্যবান দোখলা খালটির উপর। বর্তমানে উক্ত এলাকায়( খাল সংলগ্ন )প্রতি বিঘা জমি কোটি টাকার উপরে বেকা বিক্রি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোখলা বাজারের পাশে লবলং খাল ভরাট করে পানির গতিপথ বন্ধ হওয়ায় বেরাইদেরচালা গ্রামসহ আশপাশের শত শত কৃষকের কৃষি জমির উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি বর্ষাকালে বন্যা, জলাবদ্ধতা ও পানি দূষণে জীববৈচিত্রসহ নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি ও জনস্বার্থ। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাপটে ও খাল দখলের ধারাবাহিক প্রতিযোগিতায় খালের অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। যাদের জমির পাশ দিয়ে খালটি গেছে তারাই খালপাড় ভরাট করে জমির আয়তন বাড়াচ্ছেন নিজ উদ্যোগে।
শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি বাস্তবে দেখা যায়, দোখলা বাজারের পার্শ্বে আর এস নকশা অনুযায়ী ১০৭৭৯,১০৭৮০ দাগের জমিতে বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। যা দৃশ্যমান লবলং খালের গতিপথ দেখা যায়। বালিভর্তি জমির দুইদিকে খাল দৃশ্যমান হলেও পানির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পৌরসভার বেরাইদেরচালা গ্রামের বাসিন্দা আলী নেওয়াজের জমিতে এসে খালটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে! তবে আলী নেওয়াজ খাল দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন খালের জায়গায় আমি বালি ফেলি নাই। আমার জায়গা হতে খালটি ৪০০ ফিট পশ্চিমে অবস্থিত। এবং উক্ত বিষয়ে এসিল্যান্ডকে জানিয়েছি। এবং একজন সরকারী সার্ভেয়ার এসে এটা পরিদর্শনও করেছেন।
এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নদী পরিব্রাজক দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা জনাব খোরদেশ আলম বলেন, আমরা ছোট সময় এই খালের পানিতে জাল ফেলে, বরশি দিয়ে মাছ ধরতাম। মাঝে মধ্যে পানিও পান করতাম তখন সব সময় খালে বুক সমান স্বচ্ছ পানি থাকতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নাই। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে খালটি ভরাট হয়ে পানির গতিপথ বন্ধ হয়েছে। এতে প্রতিবছর জলাবদ্ধতায় বহু লোকের জমির ফসল তলিয়ে যায়। ফলে বর্ষাকালে যেমন জলাবদ