নওগাঁর মান্দা কুসুম্বায় স্থানীয় দোকান্দারদের উৎখাতের চেষ্ট
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা মসজিদের দক্ষিন পার্শের দোকান্দার ব্যবসায়ীদের উৎখাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন ও দোকান্দারেরা জানায়,
প্রায় ১০/১২ বছর ধরে মসজিদের দক্ষিন পার্শে অথ্যাৎ কুসুম্বা শাহী দাখিল মাদ্রাসার মাঠের উত্তর পার্শে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাঠ দিয়ে ব্যবসা -বানিজ্য করে আসছেন তারা। এই ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান করার কারনে মাদ্রাসার শিক্ষক বা কমিটিকে সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদাও দিয়ে আসছে তারা। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কমিটি মিলে সিদ্ধান্ত হয় যে, মাদ্রাসার সামনে উত্তর ও পুর্ব দিকে ইটের বাউন্ডারি বা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেবে এবং দোকান্দারদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য ৯ফিট জায়গা রেখেই বাউন্ডারি দেবেন বলে সিদ্ধান্ত কমিটিরা। তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় এবং ব্যাবসা-বানিজ্য করার জন্য দোকানিরা টাকা দিতেও প্রস্তুত বলে জানায়। কিন্তু হঠাৎ করে কমিটি সিদ্ধান্ত বদলীয়ে দোকানিদের ব্যবসা করার জন্য কোন প্রকার জায়গা না ছেড়ে রাস্তা ঘেঁসে প্রাচীর দেওয়ার জন্য খননের কাজ শুরু করে। দোকান্দারেরা অভিযোগ করে জানায়, হঠাৎ করে মাদ্রাসা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, দোকান্দারদের জন্য কোন জায়গা না রেখেই বাউন্ডারি করবেন তারা। এবং খোড়াখুড়ির কাজও শুরু করে দেন কমিটিরা।
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দোকান্দারেরা হতাশ হয়ে পড়ে সকল দোকানিরা। প্রতিটি দোকান্দারেরা বিভিন্ন সমিতি থেকে ৩ লক্ষ ৪ লক্ষ টাকা করে ঋন নিয়ে এই ব্যবসা গুলো করছে বলে জানায়। প্রতি সপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি দিতে হয় তাদেরকে। এমন করে দোকান্দারদের উৎখাত করলে চরম বিপদে পড়বেন বলে দোকানিরা জানান। মৌখিক ভাবে মাদ্রাসার কমিটিকে অনেক অনুরোধ করে দোকানিরা।
কমিটিরা তাদের কোন কথাকে গুরুত্ব না দিলে, সকল দোকানিরা মান্দা ইউএনও কাছে তাদের অনুরোধটি পেশ করিলে, ইটের প্রাচীর দেওয়া বন্ধ করে দেন। দোকানিদের কোন প্রকার ব্যাবস্থা না করে বিভিন্ন কলা-কৌশল অবলম্বন করছে মাদ্রাসা কমিটি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার কৃর্তপক্ষর সাথে কথা বললি তাহারা কোন প্রকার কথা বলবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেয়।