নবীনগরে মিলন সর্দার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৪, অবশেষে মামলা ৷৷ এমপির ঘটনাস্থল পরিদর্শন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামের চাঞ্চল্যকর মিলন সর্দার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে র্যাব-১৪ (ভৈরব ক্যাম্প) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার থলিপাড়ার মুসা মিয়ার বাড়িতে এক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করে।ধৃতরা ওই সময় বাড়িটিতে হত্যা পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন বলে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মিলন সর্দারের ছেলে মোমেন মিয়া বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২২ জনকে আসামি দিয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা আজাইরা গোষ্ঠীর প্রধান আবু কাউছার মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে বলেকণ্ঠকে জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মিলন সর্দারের ছেলে মোমেন মিয়া বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২২ জনকে আসামি দিয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা আজাইরা গোষ্ঠীর প্রধান আবু কাউছার মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে ঘটনার চার দিন পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি নিহতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সমবেদনা জানান। এসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গেও জড়িত থাকে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে স্থানীয় পুলিশকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাংসদ এলাকার সকল সর্দারদের তালিকা দ্রুত তৈরি করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও পুলিশকে নির্দেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দাঙ্গাবাজরা হলেন- জালাল মিয়া (৫২), আলাল মিয়া (৫০), দয়াল শাহ (৩৯), জামাল মিয়া (৪৮), মো. হোসেন মিয়া (৪৮), মাসুদুর রহমান (৩৫) মিজানুর রহমান (৫০), মো. আমির হোসেন (৫০), মঈন উদ্দিন ওরফে মনির মিয়া (৫০), মুহিন উদ্দিন (২৫), মো. কামাল মিয়া (৬০), রজব আলী (৭৫), শাহীন মিয়া
২০) ও মো. ডালিম মিয়া (৪০)। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি গৌরনগর গ্রামে।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের নবীনগর থানায় আনার পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাল শনিবার সকালে ধৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। এলাকার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামে আজইরা গোষ্ঠীর
অন্যতম সর্দার মিলন সরকার (৮০) কে দুই চোখ উপড়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যে কালের কণ্ঠে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।