মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না : নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের কোথাও জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।মঙ্গলবার নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এর আগে তিনি আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা তারেক সোলেমান সেলিমের মরদেহ দেখতে যান এবং নামাজে জানাজায় অংশ নেন।এর পর উত্তর আগ্রাবাদের এলাকা থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগে রেজউল করিমের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. নাজমুল হক, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আফরোজা কামাল, মিসেস নুর আক্তার প্রমা সহ এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেজাউল করিম বলেন, জোয়ারের পানি ও ভারী যানবাহনের কারণে ভঙ্গুর রাস্তাঘাট আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের একটি বড় সমস্যা। চট্টগ্রামের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় খাল খনন, সংস্কার, পুনরুদ্ধার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় মহেশখালকে দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হবে। এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে আগ্রাবাদসহ চট্টগ্রামের কোন এলাকাতেই জোয়ারের পানি ও জলাবদ্ধতার সমস্যা আর থাকবে না। এক্সেস রোডকে টেকসই ভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে।তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডকে ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ চলছে। মেয়র নির্বাচিত হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব, যাতে ধুলাবালি ও যানজটের বিড়ম্বনা থেকে মানুষ দ্রুত মুক্তি পায়।বক্তব্যে তিনি চট্টগ্রামের নতুন এক সমস্যা কিশোর গ্যাং এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, কিশোরদের খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ অতিমাত্রায় সংকুচিত হয়ে পড়ায় এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন প্রতি ওয়ার্ডে না হোক, অন্তত যে সকল ওয়ার্ডে খালি জায়গা পাওয়া যাবে ছোট বড় যথাসম্ভব খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে আমি উদ্যোগ নেব এবং নারী ও তরুণরা যাতে আউট সোসিং এ আরো দক্ষতা অর্জন করতে পারে কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেব।এসময় তিনি নগরবাসীর প্রতি সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া চান এবং মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুরন্ত গতিতে অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। অবহেলিত চট্টগ্রামকে আধুনিক, নান্দনিক, স্বপ্নিল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অনেকটাই এগিয়ে গেছে।‘২৭ জানুয়ারির সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারাকে আরো শানিত করুন।’
চট্টগ্রামে বাড়ছে শিক্ষিত অপরাধী
বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরন, শিকার নারী ও কম বয়সীরা। অনলাইন ড্রেস্ক নিউজ প্রযুক্তির সঙ্গে বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরন। সময়ের সঙ্গে...