শুভ জন্মদিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক ‘‘জাকির হোসেন রাজু’
বিনোদন প্রতিবেদকঃ ছুন্নত মল্লি
জাকির হোসেন রাজু চলচ্চিত্রে আসেন বেদের মেয়ে জোসনা চলচ্চিত্রের পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুলের সহকারী হিসেবে। এছাড়া চলচ্চিত্রকার দিলীপ সোমের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন দোলা চলচ্চিত্রে। পরিচালক হিসেবে তার প্রথম কাজ সালমান শাহ-শাবনূর জুটির জীবন সংসার।[৩] ১৯৯৭ সালে পরিচালনা করেন এ জীবন তোমার আমার। এতে অভিনয় করেন রিয়াজ ও পূর্ণিমা। ২০০১ সালে তার নিজের লেখা গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন মিলন হবে কত দিনে ও নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি। এ দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় জুটি রিয়াজ ও শাবনূর। ২০০৭ সালে পরিচালনা করেন শাকিব খান ও পূর্ণিমাকে নিয়ে মা আমার স্বর্গ। এছাড়া শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন স্বামীর সংসার (২০০৭) এবং মনে প্রানে আছো তুমি (২০০৮)।[৪] ২০০৯ সালে পরিচালনা করেন শাকিব খান-বিদ্যা সিনহা সাহা মীমকে নিয়ে আমার প্রাণের প্রিয়া। চলচ্চিত্রটি ইউরো-সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ডে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়।[৫] ২০১০ সালে নির্মাণ করেন শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-রুমানাকে নিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের ছায়াছবি ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]
পরবর্তীতে ২০১২ সালে নিজের লেখা জ্বী হুজুর চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।[৭] এতে অভিনয় করেন অভিষিক্ত দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রী সায়মন সাদিক ও সারা জেরিন।[৮] ২০১৩ সালে নির্মাণ করেন পোড়ামন ও এর বেশি ভালোবাসা যায় না।[৯] সায়মন সাদিক-মাহিয়া মাহী জুটির পোড়ামন চলচ্চিত্রটি দর্শক সমাদৃত হয়।[১০] পরের বছর ২০১৪ সালে নির্মাণ করেন দবির সাহেবের সংসার ও অনেক সাধের ময়না। কমেডি ধাঁচের দবির সাহেবের সংসার ছায়াছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন আলীরাজ ও অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেন মাহি, বাপ্পি ও ইমরোজ।[১১] প্রথমে সায়মনের অভিনয় করার কথা থাকলেও পরিচালক রাজু ও প্রযোজক আব্দুল আজিজের সাথে মনোমালিন্যের কারণে তাকে বাদ দিয়ে আরেক অভিনেতা ইমরোজকে নিয়ে চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ করেন।[১২] অন্যদিকে অনেক সাধের ময়না ছায়াছবিতে ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ময়নামতি ছায়াছবিতে ব্যবহৃত নন্দিত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার রচিত “অনেক সাধের ময়না আমার” গানটি সূচনা সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করলেও তার নাম উল্লেখ না করায় তার কাছে ক্ষমা চান রাজু।[১৩] ২০১৬ সালে মুক্তি পায় চার্লি চ্যাপলিনের সিটি লাইট্স চলচ্চিত্রের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত অনেক দামে কেনা।[১৪] আবদুল্লাহ জহির বাবু রচিত এ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পি, মাহী ও ডিপজল।[১৫] এবছর আরও পরিচালনা করেন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নিয়তি। এতে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ ও ফাল্গুনী রহমান জলি।[১৬] এটি প্রথম যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র যেখানে পরিচালক এবং প্রধান চরিত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রী বাংলাদেশী।[১৭] ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় শুভ-ফারিয়া জুটির প্রেমী ও প্রেমী। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুভ-তানহা-ইমরোজকে নিয়ে নির্মিত ভালো থেকো।[১৮]